চীনের তৈরি প্রথম আরও আধুনিক যুদ্ধবিমানের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সমরাস্ত্র কোম্পানি এভিয়েশন ইন্ডাষ্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না (এভিআইসি) এফটিসি-২০০০জি নামের এই বিমানটি তৈরি করেছে।
জানা গেছে, বহু ভূমিকা পালনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানটি মূলত আকাশ থেকে ভূমির লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হানার কাজে ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি এটি ফাইটার জেট ও প্রশিক্ষণ বিমান হিসেবেও কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে এভিআইসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি গুইঝু থেকে ঘন মেঘের মধ্য দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে উড়েছে।
এভিআইসির দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, চীনের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী যে উন্নত প্রশিক্ষণ বিমান ব্যবহার করে সেগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়ে দুই আসনের এই বিমানটি তৈরি করা হয়েছে। বিমানটির সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১,৪৭০ কিলোমিটার। টেইকঅফের সময় এটি সর্বোচ্চ ১১ মেট্রিক টন ভর বহন করতে পারে। বিমানটির সর্বোচ্চ ফ্লাইট পরিসীমা ২,৪০০ কিলোমিটার এবং অভিযানের সময় বিমানটি ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পারবে।
বিমানটি টানা তিন ঘন্টা ধরে আকাশে থেকে অভিযান চালাতে পারবে। এবং তিন টনের মতো ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট অথবা বোমা বহন করতে পারবে। এটি আধুনিক রাডার ও ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমে সজ্জিত। এফটিসি-২০০০জি বিমানটি বোমারু বিমান হিসেবে পুরনো মডেলের, যেমন চীনের জে-৭ এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ-২১ এর স্থান পূরণ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে নির্মাতা কোম্পানি। আর প্রশিক্ষণ বিমান হিসেবে এটি চীনের এফটি-৭ অথবা ব্রিটেনের বিএই সিস্টেমস হক এর পরিবর্তে ব্যবহার করা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত