স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় ছিল হার্ট। এর ফলে সমস্যায় পড়েছিল পাকিস্তানের ১৪ বছরের এক কন্যা শিশু। ছিল অকাল মৃত্যুর আশঙ্কাও। বুধবার দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারে সেই শিশুর বড় হার্ট কেটে ছোট করেন চিকিৎসকরা। খবর এনডিটিভির।
চিকিৎসকরা জানান, ওই শিশুটির হার্টের বাঁ-দিকটি স্বাভাবিকের তুলনায় চার গুণ বড়। ওই শিশুটি যে বিরল রোগটিতে ভুগছিল, তার নাম- জায়ান্ট লেফট অ্যাট্রিয়াম (জিএলএ)। যে রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায় অনেক। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার দেহের ওজন ছিল মাত্র সাড়ে ৬ কেজি। সে কিছুই খেতে পারছিল না। ক্রমশ শুকনো হয়ে আসছিল শরীর। স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেকাংশেই।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ২ বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে এমন রোগের নজির প্রায় নেই বললেই চলে। একটি ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
সবশেষে ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, বিশালাকার হৃদয়ের মানুষ চিরকালই সমাদৃত হয়েছে আরও বহু মানুষের কাছে। সেই বিশাল হৃদয় সংক্রান্ত একটি অস্ত্রোপচার এখন দুই প্রতিবেশী দেশের বৈরিতা কমাতে পারে কি না, তা এখন বলবে সময়।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ নভেম্বর, ২০১৮/মাহবুব