নিজের পোষা সিংহের আক্রমণে নিহত হয়েছেন মিশাল প্রাসেক (৩৩) নামে এক যুবক। বাড়ির পিছনে রাখা সিংহের খাঁচায় ছেলের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশকে খবর দেন প্রাসেকের বাবা। খাঁচাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রে এমন দুঃখ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।
জানা যায়, প্রাসেকের বাড়ির পিছনে দুইটি পৃথক খাঁচায় পালা হতো একটি ৯ বছর বয়সী সিংহ ও একটি সিংহী। সেখানেই প্রাসেকের বাবার হঠাৎ করে দেখতে পান ছেলের মরদেহ। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশকে খবর দিলে তিনি জানান, 'সিংহের খাঁচার দরজা ভেতর থেকেই বন্ধ ছিল'। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিংহ দুটিকে মেরে প্রাসেকের দেহ খাঁচা থেকে উদ্ধার করে।
প্রাসেকের দেহ উদ্ধারের স্বার্থে সিংহ দুটিকে মারা প্রয়োজনীয় ছিল বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ।
আরও জানা যায়, ৩৪ বছর বয়সী প্রাসেক ২০১৬ সালে সিংহীটিকে কিনে আনেন। পরে ২০১৮ সালে তিনি প্রজননের উদ্দেশ্যে আরেকটি সিংহ কিনে আনেন। সিংহ দুটিকে তিনি তার নিজ বাড়ির পিছনে নিজের বানানো দুইটি খাঁচায় রাখতেন। সম্প্রতি সিংহীকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে এক সাইকেল আরোহীর সঙ্গে তার সিংহীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় স্থানীয় পুলিশের মধ্যস্ততায় ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রাসেকের বাড়ির দুই সিংহকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এর আগে অবৈধ প্রজননের জন্য তাকে জরিমানাও করা হয়। পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে প্রাসেক তার বাড়িতেও সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছিলেন। অন্যদিকে চেক প্রজাতন্ত্রে বন্য প্রাণী পালন ও প্রজননের কোনো বিকল্প জায়গার অভাব ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ না থাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না স্থানীয় কর্মকর্তারা।
তবে নিজের পালিত সিংহের থাবায় প্রাসেকের মৃত্যু বন্য প্রাণী পালন ও প্রজননের ব্যাপারে নতুন আইন তৈরিতে সহায়ক হবে বলে জানান জেখোভের মেয়র টমাস ককোরেক।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম