পাকিস্তানের একটি টকশোতে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির পর এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো ভারতে। প্রথমে বচসা, তারপর একে অপরের দিকে ধেয়ে গেলেন অশ্লীল ভাষা নিয়ে। শুরু হল হাতাহাতি। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে জুতা দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। বুধবার এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সন্ত কবীর নগরে বিজেপির একটি কার্যনির্বাহী বৈঠকে।
এনডিপির খবর, বিজেপির এক বিধায়ক ও এক সাংসদের মধ্যে এই জুতা মারামারির ঘটনা জাতীয় রাজনীতির সৌজন্যের যে ইতিহাস তাকেও লজ্জায় ফেলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির সাংসদ শরদ ত্রিপাঠী ও বিজেপি বিধায়ক রাকেশ বাঘেল এর মধ্যে ওই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
সভাটি ছিল বিজেপির জেলা কমিটির। ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্র থেকে সাংসদ হওয়া শরদ ত্রিপাঠী জানতে চান, স্থানীয় একটি রাস্তার শিলান্যাসের পাথরে তাঁর নাম খোদাই করা নেই কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ওই জেলারই মেহনদাওয়াল কেন্দ্রের বিধায়ক রাকেশ বাঘেল বলেন, ওটি তার সিদ্ধান্তেই হয়েছে।
তারপর রাকেশ বাঘেল বলেন, এই প্রশ্নটা নিজের জুতাকে করুন আপনি। এর সঙ্গে সঙ্গে খেপে যান শরদ ত্রিপাঠী। প্রবল গালাগালি দিতে দিতে নিজের জুতাটি খুলে রাকেশ বাঘেল এর ওপর চড়াও হন শরদ ত্রিপাঠী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা এখনও জানানো হয়নি।
৪৭ বছরের শরদ ত্রিপাঠি সন্ত কবীর নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। যার টুইটারে বড় বড় করে লেখা রয়েছে- দেশই সবার আগে।
অন্যদিকে, ৫২ বছর বয়সী বিধায়ক রাকেশ বাঘেল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তৈরি করা 'হিন্দু যুব বাহিনী'র সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব