ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নানা কারণে নাগরিকত্ব বাতিল হয়। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:-
স্পেন: স্পেনের সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের অনুমতি ছাড়া কারো নাগরিকত্ব বাতিল করা যায় না। তবে আইনের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক যদি ১৮ বছর বয়সের আগে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তাহলে তিন বছরের মধ্যে তিনি স্পেনের নাগরিকত্ব হারাবেন, যদি তিনি এই নাগরিকত্ব রাখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ না করেন।
ফ্রান্স: রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য না থাকা বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেননি, এমন ব্যক্তিকে দেয়া নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে দেশটির সরকার।
পোল্যান্ড: স্পেনের মতোই, পোল্যান্ডে জন্ম নেয়া কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব সরকার চাইলেই কেড়ে নিতে পারে না। তবে কোনো নাগরিক যদি নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করে তবেই তা বিবেচনায় নেয়া হয়৷ এ বিবেচনা আবার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
ইতালি: দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে যে-কোনো ব্যক্তি ইটালির নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারে। তবে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো দেশের পক্ষ হয়ে ইটালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দেশের আইন অনুযায়ী তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করা যেতে পারে।
নেদারল্যান্ডস: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে নেদারল্যান্ডস সরকার। এদিকে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলে এবং অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও সে ব্যক্তির নাগরিকত্ব বতিল করতে পারে সরকার।
এদিকে বেলজিয়াম ও ডেনমার্ক, স্পেন, ও সুইডেন দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার ফলে নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি দেশটির বিদেশে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের বেলায় প্রযোজ্য হবে।
বিদেশে অনেকদিন বসবাস করলে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় ইউরোপের নয়টি দেশ। তবে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন ও সুইডেনে শুধুমাত্র বিদেশে জন্ম নেয়া ওইসব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে ধরা হয়।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপের ১৫টি দেশ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য না থাকার অভিযোগে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে। আনুগত্য না থাকা বলতে বোঝানো হচ্ছে, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ, সংবিধান ও জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধী আচরণ, কথায় বা আচরণে অনানুগত্য পোষণ, অথবা জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো আচরণ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম