একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি। এবার বেরিয়ে আসলো তার অন্দর মহলের খবর। তারই একজন সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা একটি টিভি ইন্টারভিউতে সম্প্রতি দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ব্যাপক আকারে দুর্নীতি চলছে। শুধু তাই নয়, সরকারি পদ পেতেও অশালীন কাজে(যৌনতায়) নিয়োজিত হতে বাধ্য করা হয়।
জানা যায়, দেশটির টেলিভিশন নেটওয়ার্ক খুরশিদ টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল হাবিবুল্লাহ আহমাদেজাই নামের ঐ সিনিয়র উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ব্যাপক দুর্নীতি বিদ্যমান। এই দুর্নীতির কারণেই প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। কেননা প্রেসিডেন্টের দফতরের অনেকেই দেশের সেবা করতে বাধা দিয়ে থাকেন, তাদের হাত ধরে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ পর্যন্ত যৌনতা ও দুর্নীতির ছড়াছড়ি।
এদিকে, সাবেক এই উপদেষ্টার এই রকম মন্তব্য এরই মদ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পড়ার পর তা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মন্ত্রীসভার এক নারী মন্ত্রী। নরগিস নামের ঐ মন্ত্রী দাবি করেন, মন্ত্রিসভার একজন নারী সদস্য হিসেবে আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই যে, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমরা নারীদের রাজনীতির বিসয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র শাহ হোসেন মুর্শাজাউইও এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কর্মকর্তা এবং সরকারকে হেয় করতে ওই অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা একধরনের 'সাইকোলজিক্যাল ওয়ার'। সরকারী ব্যবস্থার কিছু ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু জেনারেল হাবিবুল্লাহ আহমাদেজাই যেভাবে বলেছেন তেমন না। মিডিয়ায় তার এমন মন্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক