পাকিস্তান কখনওই ভারতের ঔদ্ধত্য সহ্য করবে না বলে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
তিনি বলেছেন, “সামরিক ও অর্থনৈতিক দুই দিক থেকেই পাকিস্তান এখন উড়ছে। আমরা আমাদের শত্রুদের পরাজিত করেছি। এটি আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় মুহূর্ত। যদিও তাদের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা অনেকের চোখেই ছিল কল্পনার বাইরে।”
শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, “পাকিস্তান এখন উড়ছে, কারণ একদিকে সামরিক সাফল্য, অন্যদিকে সরকারে আসার পর অর্থনৈতিক উন্নয়ন—এই দুই মিলে দেশের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।”
শনিবার কোয়েটার কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে শেহবাজ বলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা অভিযানে ভারত ‘বিস্মিত ও স্তম্ভিত’ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেঙে দিয়েছে এবং তাদের ‘সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের মিথ’ ধ্বংস করেছে।
শেহবাজ বলেন, পাকিস্তানের প্রতি হুমকি এখন আর শুধু সামরিক নয়-‘এগুলো এখন সাইবার আক্রমণ, অর্থনৈতিক চাপে ফেলা, ভুয়া প্রচার ও হাইব্রিড যুদ্ধের মতো বহুস্তরীয়’।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান শুধু উপযুক্ত জবাবই দেয়নি, বরং পাল্টা কৌশল দিয়ে ভারতকে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে।
বক্তৃতায় শেহবাজ সিন্ধু পানি চুক্তিকে কেন্দ্র করে ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থানকেও কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। ভারত এই পানি বণ্টন চুক্তিকে ‘স্থগিত’ করার ঘোষণা দিয়েছে। শেহবাজ নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপকে ‘লাল রেখা’ হিসেবে অভিহিত করে হুঁশিয়ারি দেন, পাকিস্তান কখনওই ভারতের ঔদ্ধত্য সহ্য করবে না।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলাসহ সামরিক উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছিল।
ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। যদিও ভারত কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি এবং তাদের সেই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। তারপরও এ ঘটনার জেরে মে মাসের শুরুতে ভারত পাকিস্তানে একাধিক বিমান হামলা চালায়, যাতে বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হন।
এর জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পাশাপাশি ভারতের অভ্যন্তরে নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে গত ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় পাকিস্তান ও ভারত।
বিডি প্রতিদিন/একেএ