পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও বেঠকে ডাকলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবঙ্গকে যেন কেন্দ্রীয় সরকার ‘নিশানা’ না করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন দাবি উঠার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানান মোদি।
সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে সোমবার। তার আগে আজ দিল্লিতে বসেছিল সর্বদল বৈঠক। সেই বৈঠকেই সংসদের দুই কক্ষের তৃণমূলের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মর্যাদা দিয়ে রাজ্যের উপরে ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধ করুক কেন্দ্র। বিশেষ কোনও রাজ্যকে যেন ‘নিশানা’ করা না হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীরা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি তখন বৈঠকে ছিলেন না। তিনি পরে এসে বৈঠকে যোগ দেন। যে কারণে বৈঠক শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত তার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে তাদের দাবির কথা জানান সুদীপবাবু। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ১৯ জুন, বুধবার সব দলের নেতাদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই প্রসঙ্গে কথা হতে পারে।কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, ১৯ তারিখ বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রী সব দলের সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করবেন দিল্লিতে। মোদিরা চাইছেন, তৃণমূলের চেয়ারপারসন মমতা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকুন। সংসদীয় মন্ত্রী জোশী এ দিনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তবে মমতা সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন কি না, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়।
তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতার কথায়, “সর্বদল বৈঠকে দায়িত্ব ছিল সুদীপদা’র উপরে। তিনি যা বলার, বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কি না, তিনিই ঠিক করবেন। এই সপ্তাহে তার কিছু কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত আছে।”
আমন্ত্রিত হলেও শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে ছিলেন না মমতা। এরই মধ্যে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলার প্রশাসনকে তিনটি ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এভাবে পরপর তিনটি ‘অ্যাডভাইসরি’ সাম্প্রতিক অতীতে বেনজির ঘটনা।
এই ঘটনাপ্রবাহের জেরেই এ দিন ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের নেতারা দাবি করেন, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। মোদি তখন না থাকায় পরে তার সঙ্গে সুদীপবাবু আলাদা করে কথা বলতে যান। কলকাতা উত্তরের সাংসদকে দেখে মোদি প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, তার শরীর ঠিক আছে কি না। সুদীপ তাকে বলেন, শরীর ঠিক আছে। তবে বৈঠকে তারা একটি বিষয় তুলেছেন। তারা মনে করছেন, বাংলাকে ‘নিশানা’ করা হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন করা যায় না। বাংলার প্রতি যেন অবিচার না হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/কালাম