১৭ জুলাই, ২০১৯ ০৮:৫৯

শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সেই হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক

শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সেই হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মাদক গোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে (বড়দিন) উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে বিভিন্ন গির্জা ও হোটেলে হামলা চালায়। বোমা হামলার ঘটনায় ২৯০ জন নিহত হয়। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতিও মারা যায়।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেন এ দাবি করেন। 

তবে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংগ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করতে জনগণকে অনুরোধ করেন। 

বোমা হামলার ঘটনায় ২৯০ জন নিহত হয়। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতিও মারা যায়।

প্রেসিডেন্ট বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা ও শ্রীলঙ্কায় মাদক নির্মূলকে নিরুৎসাহিত করতে অভিজাত মাদক ব্যবসায়ীরা বোমা হামলা করে। কিন্তু আমি মাদক নির্মূল কার্যক্রম থেকে পিছপা হবো না।’

যদিও বোমা হামলার পরদিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘এ ঘটনার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়ী।’ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সন্ত্রাসী দল ন্যাশনাল তওহিদ জামাত (এনটিজে) বোমা হামলা ঘটায়। পরবর্তী সময়ে দাহেশ গ্রুপ নামক আরেকটি দল বোমা হামলা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দাবি করে।

প্রেসিডেন্ট তার ঘোষণাটি এমন সময়ে বলেছেন, যখন শ্রীলঙ্কায় চেতনানাশক মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট মাদকের সাথে জড়িত অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালুর পক্ষে কাজ করছেন।

প্রেসিডেন্ট মৃত্যুদণ্ডের বিধান পুনরায় চালু করতে চেষ্টা করছেন। এ বিধানের পক্ষে জনগণের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার মতে, শ্রীলঙ্কায় অবৈধ মাদক বাণিজ্য নির্মূলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সাহায্য করবে। শ্রীলঙ্কার নেতৃস্থানীয় সন্নাসী উমালপি সোবিথা মৃত্যুদণ্ডের বিধান পুনরায় চালু ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার উপদেশ দেন বলেও উল্লেখ করেন।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর