মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরান সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, পম্পেও’র এ বক্তব্যে সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি বরং তেহরান-বিরোধী মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে তিনি এ দাবি করেছেন। খবর ‘ইরান প্রেস’র।
সাইয়্যেদ মুসাভি সোমবার ইরানের এই বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, যখন একটি দেশ আরেকটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে তখন সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপর দেশটিতে শুভেচ্ছা সফরে আসতে পারেন না।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ব্যাপারে নীতি নির্ধারণ নিয়ে আমেরিকা বিভ্রান্তিতে রয়েছে। আমেরিকার ইরান বিরোধী কোনো পদক্ষেপে বিশ্বের আর কোনো দেশ সায় দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আমেরিকা এতটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে যে, এমনকি আমেরিকার মিত্র দেশগুলিও ওয়াশিংটনকে সমর্থন দিচ্ছে না।
আমেরিকার ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে খাদ্য ও ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন সরকার যে দাবি করে তাকে অসত্য বলে প্রত্যাখ্যান করেন ইরানের এই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেশের বাইরে থেকে কোনও কিছুই আমদানি করা যাচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে একতরফাভাবে বের করে নেন এবং একই বছরের নভেম্বরে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম