ফ্রান্সের বিয়ারিতসে শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী সাতটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপ সেভেন বা জি-৭ সম্মেলন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এত মতভিন্নতা নিয়ে কখনই শীর্ষ সম্মেলনে বসেনি জি-৭। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ, ব্রেক্সিট, জলবায়ু সংকট, আমাজনের আগুন, নানা বিষয় নিয়ে উত্তপ্ততা দেখা দিয়েছে এবারের সম্মেলনে। এদিকে, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সে সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সবাইকে চমকে দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। যদিও সম্মেলনের আয়োজক ফ্রান্স জারিফের আগমনের বিষয়টি জানতো।
রবিবার (২৫ আগস্ট) ফ্রান্সের সমুদ্রতীরবর্তী শহর বিয়ারিজে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ জি-৭ সদস্য দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে চলতে থাকা সম্মেলনে অংশ নেন জারিফ। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই জোটের বাকি দেশগুলো হলো স্বাগতিক ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের পরমাণু চুক্তি ভেস্তে যাওয়া এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় ইত্যাদি নিয়ে সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে জারিফ ফ্রান্সে ছুটে যান।
এদিকে, সম্মেলনে আমাজন সংকট নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইইউর সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আগুন থামাতে এবং পুনরায় বনায়নে শুধু আহ্বানই জানাব না, আমাজোনিয়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করব।’ ম্যাক্রোঁর এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলও। তবে সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও ব্রাজিল-ইইউ মেরকসুর চুক্তি বাতিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মেরকেল। এক ভিডিও বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, ‘আমরা সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করব, স্পষ্ট বার্তা জানাব যে রেইনফরেস্টটিকে বাঁচাতে সাধ্যের সবকিছুই করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার