২২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৩:৫৩

রাজসঙ্গীর পদবী-মর্যাদা তুলে নিলেন থাই রাজা

অনলাইন ডেস্ক

রাজসঙ্গীর পদবী-মর্যাদা তুলে নিলেন থাই রাজা

অসদাচরণ এবং রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার অভিযোগে থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্ণ নিজের রাজকীয় সঙ্গী সিনেনাত ওংভাজিরাপাকদি'র পদবী-মর্যাদা তুলে নিয়েছেন। সোমবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সিনেনাত নিজেকে রানীর সমকক্ষ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন এবং অতি উচ্চাভিলাষী হয়ে উঠেছিলেন।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই রাজকীয় সঙ্গীর আচরণ অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। থাই রাজা ভাজিরালংকর্ণ চতুর্থ রানী হিসেবে সুথিদাকে বিয়ের দু'মাস পর গত জুলাইয়ে মেজর জেনারেল সিনেনাতকে নিয়োগ দেয়া হয়।

সিনেনাত ওংভাজিরাপাকদি ছিলেন একজন মেজর জেনারেল, প্রশিক্ষিত পাইলট, নার্স এবং দেহরক্ষী। বিগত শতাব্দীর মধ্যে তিনিই ছিলেন রাজকীয় সঙ্গীর খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র নারী। আর রাজা ভাজিরালংকর্ণের দীর্ঘদিনের সহযোগী ছিলেন ৪১ বছর বয়সী রানী সুথিদা এবং বহু বছর ধরে তাকে রাজার সঙ্গে জনসম্মুখেও দেখা গেছে। রাজা হিসেবে ভাজিরালংকর্ণ'র আনুষ্ঠানিক অভিষেকের মাত্র তিন দিন আগে রানী সুথিদাকে বিয়ে করেছিলেন। তখন রাজকীয় এক ফরমানে রাজার নতুন বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। 

৭০ বছর থাইল্যান্ডের সিংহাসনের আসীন থাকার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ মৃত্যুবরণ করেন।তারপর সাংবিধানিকভাবে রাজা হন তার  ছেলে ভাজিরালংকর্ণ। রাজা হয়ে ৬৬ বছর বয়সী ভাজিরালংকর্ণ রাজা দশম রামা উপাধি গ্রহণ করেন। ভাজিরালংকর্ণ ২০১৪ সালে সুথিদা তিদজাইকে তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীতে নিয়োগ দেন। এর আগে তিদজাই থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজা ভাজিরালংকর্ণ সুথিদাকে রাজকীয় থাই সেনাবাহিনীর পূর্ণ জেনারেল র‌্যাঙ্ক প্রদান করেন। পরের বছর তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার করেন। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর