ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা শুরু থেকেই বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছিল বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো। সেসময় বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছিল নুসরাত হত্যার বিভিন্ন ঘটনা। এবার রায়ের খবরও বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘নুসরাত জাহান রাফি: ছাত্রীর গায়ে আগুন দেওয়া ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড’।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে ‘যৌন হয়রানির মামলায় কিশোরীকে হত্যায় অভিযুক্ত ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ’।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা তাদের শিরোনামে করেছে ‘বাংলাদেশে নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড’।
যুক্তরাজ্যের বহুল পঠিত ‘দি গার্ডিয়ান’ লিখেছে ‘১৯ বছরের নারীকে পুড়িয়ে মারায় বাংলাদেশে ১৬ জনের দণ্ড’।
ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি আদালত ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি ‘ছাত্রীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার নারকীয় ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশ’ শিরোনাম করেছে।
বিশ্বের প্রভাবশালী অন্য গণমাধ্যমগুলোতেও নুসরাত হত্যার রায়ের খবর প্রকাশ করা হয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ, দ্য সান, কানাডার সিটিভি, সিঙ্গাপুরের সিএনএ, অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস, যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনসহ ভারত ও শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রায়ের খবর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন