১৪ আগস্ট, ২০২০ ২১:০৬

গ্রিসকে এরদোয়ানের হুমকি, আক্রমণ করলে কঠিন মূল্য দিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

গ্রিসকে এরদোয়ানের  হুমকি, আক্রমণ করলে কঠিন মূল্য দিতে হবে

গ্রিসকে হুমকি দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, তুরস্কের গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজে আক্রমণ করে ক্ষতি করলে তার জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে গ্রিসকে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য ওরুচ রেইস নামে একটা জাহাজ পাঠিয়েছে তুরস্ক। আর তা নিয়েই ন্যাটোর সদস্য দুই দেশ গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন করে বিরোধ। এই জাহাজ রোডস, কারপাথোস এবং কাস্টেলপারিসো দ্বীপের কাছে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করবে। গ্রিসের দাবি, তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে। আর তুরস্ক বলছে, তারা নিজের পানিসীমাতেই থাকছে। গ্রিস তাদের তেল ও গ্যাসের লাভের অংশ দিচ্ছে না।

এই অবস্থায় গ্রিস প্রথমে তুরস্ককে হুমকি দিয়ে জাহাজ সরিয়ে নিতে বলে। তারই পাল্টা হুমকি দিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, 'আমরা গ্রিসকে বলে দিয়েছি, তোমরা আমাদের জাহাজ আক্রমণ করলে কঠিন মূল্য দিতে হবে। আজ তারা প্রথম জবাব পেয়ে গেছে।'' তবে এ নিয়ে আর কোনো তথ্য এরদোয়ান দেননি।

গত সোমবার তুরস্ক এই অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠায়। তার সঙ্গে ছিল নৌবাহিনীর একাধিক জাহাজ। গ্রিসও পরস্থিতি দেখার জন্য তাদের নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছে। গ্রিসের মিডিয়ার অসমর্থিত খবর হলো, ওরুচ রেইসকে ঘিরে নৌবাহিনীর যে জাহাজগুলো চলছিল, তাদের একটির সঙ্গে গ্রিসের জাহাজের ধাক্কাও লেগেছে। তবে গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তুরস্কের কোনো জাহাজকে আক্রমণ করা হয়নি।

ফ্রান্স জানিয়েছে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য তারাও সামরিক উপস্থিতি বাড়াবে। তারাও তুরস্ককে থামাতে চায়। উল্লেখ্য, যখন থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেলের ভান্ডার পাওয়া গেছে, তখন থেকেই গ্রিস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দাবি করছে, তুরস্ক বেআইনিভাবে এই অঞ্চলে ড্রিলিং করছে। তুরস্ক বলছে, তারা নিজেদের জলসীমার মধ্যে থেকে এই কাজ করছে। তাতে কারো কিছু বলার নেই।

বৃহস্পতিবার সকালে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এরদোয়ান। পরে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ''এরদোয়ান চান, আলোচনার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের এই বিরোধের মীমাংসা হোক।'' 

গত জুলাইতে ম্যার্কেলের উদ্যোগেই আলোচনায় বসেছিল গ্রিস ও তুরস্ক। তারা ওই অঞ্চলে ড্রিলিং-এর কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে একমত হয়। কিন্তু গত সোমবার মিশরের সঙ্গে চুক্তির পর আবার ড্রিলিং শুরু করে গ্রিস। তারপরই জাহাজ পঠায় তুরস্ক। এই অবস্থায় শুক্রবার ইইউ-র বিদেশ মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর