হিমালয়ের বিচ্ছিন্ন পার্বত্য এলাকায় গত ১৫ জুনের সংঘর্ষে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে জড়িয়েছিল। যাতে এশিয়া অঞ্চলে তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এমনটাই বিশ্বাস। মার্কিন সরকারের এক নথির বরাতে ইউএস নিউজ এ খবর দিয়েছে।
ইউএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ এলাকায় বেইজিং পরিকল্পিতভাবে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে ছিল। যাতে এশিয়া অঞ্চলে তাদের আধিপত্য বাড়ানো যায়। ভারত মনে করে এটা বেইজিংয়ের কৌশলেরই একটি অংশ।
মার্কিন নথিতে বলা হয়েছে, বেইজিং চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর বৃহত্তর অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার প্রয়াসেই বেইজিংয়ের এই উদ্যোগ।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে যে, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগর এবং হংকং-সহ তার সীমান্তের অন্যান্য অংশে আঞ্চলিক দাবিগুলো সুরক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার সময়টাকে সফলভাবে ব্যবহার করেছে। তবে চীনের এই পদক্ষেপগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে বাঁধার মুখে পড়বে।
উল্লেখ্য, লাদাখে ১৫ জুনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা মারা গিয়েছিল। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন যে ওই সংঘর্ষে ৩৫ জন চীনা সেনাও মারা গিয়েছিল। যদিও চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের খবর স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর
