মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ফিলিস্তিনকে বলির পাঠা বানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) মহাসচিব সায়েব এরেকাত।
আমেরিকার মধ্যস্থতায় সার্বিয়া যখন তার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম আল কুদসে স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন পিএলও'র মহাসচিব এই মন্তব্য করলেন।
এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দেশ সার্বিয়া এবং কসোভার মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির বিষয়ে আমেরিকা মধ্যস্থতা করেছে। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার দুই যুগ পর বলকান অঞ্চলভুক্ত এই দুই দেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছালো।
তবে, এই চুক্তিতে দু'টি অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্খিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিয়া বলেছে যে, তারা তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে অধিকৃত জেরুজালেমের আল কুদসে নিয়ে যাবে। মুসলিম অধ্যুষিত কসোভাও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে তারাও দখলদার ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে এবং একই সঙ্গে তারা ইসরাইলের স্বীকৃতির পর জেরুজালেম আল কুদসে তাদের নিজস্ব দূতাবাস স্থাপন করবে।
এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার সায়েব এরেকাত এক টুইটার বার্তায় বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হয়ে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চান এবং এই লক্ষ্যে শান্তির জন্য যতই ধ্বংসাত্মক হোক না কেনো যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তার প্রশাসন উঠে পড়ে লেগেছে।
ফিলিস্তিন বিষয়ে সার্বিয়া এবং কসোভা তাদের নীতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই পিএলও'র মহাসচিবের এসব মন্তব্য এলো।
সূত্র: আল আরাবিয়া।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর