চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বের কথা কারো অজানা নয়! পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু বেইজিং। আপদে বিপদে সব সময় ইসলামাদের পাশে থাকে চীন সরকার। আর সেখানে কিনা বন্ধু চীনের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা! হ্যাঁ। বন্ধুর শত্রুর সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক মজবুত করছে পাকিস্তান। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার।
যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইমরান সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। এমনকি চীনের পক্ষ থেকেও নয়! প্রকাশিত এক সংবাদ অনুযায়ী, গোপনে তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান। তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে বেইজিং। যদিও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তাইওয়ান। আর তা নিয়েই সংঘাত। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই উত্তপ্ত। আর এই অবস্থায় সেই চীনের শত্রুর সঙ্গেই কিনা গোপনে ব্যবসা করছে ইসলামাবাদ।
তবে তাইওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্কোন্নয়নের নীতিকে ভিন্নভাবে দেখছেন কূটনীতিকরা। প্রকাশিত খবর মোতাবেক, মিসরে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কর্মকর্তা সিদরা হক তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের পরিচালক মাইকেল ইও’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
কায়রোয় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে তারা আলোচনা করেন। বৈঠক সম্পর্কে মাইকেল ইও’র সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে সিদরা হক টুইট করেন। তবে বেইজিংয়ের রোষের মুখে পড়তে পারে! আর সেই আশঙ্কাতেই কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি টুইটটি মুছে ফেলেন।
টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মাইকেল ইও’র সঙ্গে বৈঠক করেছি। পাকিস্তান ও তাইওয়ানের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পণ্যের চাহিদা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের বাণিজ্যের অন্য শাখাগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের এহেন আচরণে চীনের রোষের মুখে পাকিস্তান পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার। অন্যদিকে, প্রতিমুহূর্তে হুমকি দিচ্ছে, চাপ বাড়াচ্ছে লাল চীন। লাগাতার দখলের হুমকি দিচ্ছে চীন। অদূর ভবিষ্যতে হংকংয়ের মতো পরিণতি হতে পারে তাদেরও। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে শক্তি প্রদর্শন করল তাইওয়ান। সূত্র : কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক