বর্তমানে সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ায় বৈঠক করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি তারা।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চীন অন্তত তিনটি নতুন রানওয়ে তৈরি করছে। ভারতীয় সামরিক সূত্রে এ খবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকা।
এদিকে, প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা অফিসারের বরাত দিয়ে বলা হয়, ভারতীয় সেনা বাহিনীও উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও কমান্ডো বাহিনী লাদাখে পাঠাচ্ছে।
সেনা সূত্রের খবর, চীনের হোটান বিমান বাহিনীর ঘাঁটির কাছে অন্তত তিনটি রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে একটি বড় অস্ত্রশস্ত্রের ঘাঁটিও তৈরি করছে চীনা সেনা বাহিনী। কারাকোরাম গিরিপথ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোটান ঘাঁটি। সেখান থেকে লাদাখের প্যাংগং সো’র ফিঙ্গার ফোর এলাকার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।
এক সেনা অফিসারের কথায়, “চীনের সঙ্গে সেনা বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার স্তরে আলোচনা প্রায় ব্যর্থ। চীনা সেনা বাহিনী দখলকৃত এলাকা ছাড়তে রাজি নয়। বরং গত সপ্তাহে ভারত যে এলাকা দখল করেছে তা ছেড়ে যেতে চাপ দিচ্ছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, আলোচনার আড়ালে চীন আসলে দ্রুত নির্মাণকার্য চালাচ্ছে।”
সেনা সূত্রের খবর, উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমান্ডো বাহিনীর চারটি ইউনিট লাদাখে পাঠাচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তাদের মধ্যে প্যারা কমান্ডো ইউনিটও রয়েছে।
লাদাখের রাজনীতিক সাজ্জাদ হুসেন কার্গিলের মতে, “কোভিড আর সীমান্তে উত্তেজনার ফলে দু’মুখো চাপে পড়েছেন লাদাখবাসী। প্রতিদিনই সীমান্তে নতুন উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। নয়াদিল্লির উচিত কূটনৈতিক পথে দ্রুত উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করা।”
বিডি প্রতিদিন/কালাম