দুই বছর পরও হদিস মিললো না সৌদি আরবের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও রাজ পরিবারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত জামাল খাশোগির লাশের।ভিন্ন মতাবলম্বীর খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। গতকাল শুক্রবার তার নিখোঁজের দুই বছর পূর্ণ হয়।
বাগদত্তাসহ খাশোগির পরিবারের অভিযোগ খাশোগিকে গুম করে খুন করা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষও বিষয়টি পরে স্বীকার করেছে। এমনকি নিখোঁজ হওয়ার ওই সময় কনস্যুলেটের বাইরেই দাঁড়িয়েছিল খাশোগির তুর্কি বাগদত্তা হাতিসে সেনগিস।
উল্লেখ্য, বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাশোগি। তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবের পাশাপাশি তুরস্ক আলাদাভাবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত জুলাইয়ে ২০ সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে তুর্কি আদালত। তুর্কি প্রসিকিউটরদের দাবি, সৌদি উপ-গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল আসিরি ও রাজকীয় আদালতের মিডিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানি এ হত্যা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সৌদি হিট টিমকে নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।
গত মে মাসে খাশোগির সন্তানরা বলেছিলেন, তারা তাদের বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ কারণে হত্যাকারীদের কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না। ৭ সেপ্টেম্বর খাশোগি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া পাঁচজনের সাজা কমিয়ে দেয় সৌদি আদালত। তাদেরকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সূত্র : আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক