ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না তুরস্ক। অব্যাহতভাবে নিষেধাজ্ঞার ভাষায় কথা বলা অগঠনমূলক। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, তাদের এই নিষেধাজ্ঞা পরিকল্পনা বেশি দূর এগোতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার ইইউ’র বৈঠক শেষে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট তুরস্ককে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে এক তরফা পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে ইইউ সদস্যরা ডিসেম্বরে তুরস্কের আচরণ পর্যালোচনায় একমত হয়ে বলেছেন, যদি উসকানি বন্ধ না হয় তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাসেলসে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইইউ নেতারা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তার একটি অংশ ইতিবাচক কিন্তু পুরো বক্তব্য তা নয়।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ এলাকায় তুরস্ক একটি জাহাজ পাঠালে গ্রিসের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয়। টানা উত্তেজনার পর তুরস্কের সঙ্গে গ্রিস একটি সামরিক হটলাইন স্থাপনে সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ তুরস্কের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। এটি আঙ্কারার স্বার্থের জন্যও অনুকূল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত