হাথরাসকাণ্ডে অবশেষে বিরোধীদের রাস্তা ছেড়ে দিতেই হল উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। শনিবার বিকেলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে হাথরাসে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে তারা।
তবে রাহুল গান্ধী একা নন, তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেসের আরও তিন নেতাকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই মতো দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক চাপে পড়েই যোগী সরকার তাদের হাথরাসে ঢোকার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে বলে কংগ্রেসের দাবি।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে শশী তারুরসহ দলের ৩০ জন সাংসদকে নিয়ে হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। রূপালি টয়োটা ইনোভার স্টিয়ারিং ছিল প্রিয়াঙ্কার হাতেই। রাহুল তার পাশে বসেছিলেন। পেছনে একটি বাসে ছিলেন দলের সাংসদরা। কিন্তু দিল্লি-নয়ডা ফ্লাইওয়ে-তে ওঠার মুখে তাদের রাস্তা আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
বলা হয়, কংগ্রেস নেতারা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করছেন। সেখান থেকে ফিরে যেতে হবে তাদের। কিন্তু পিছ পা হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেখানেই সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করেন রাহুল। তার ঘণ্টাখানেক পর তাদের হাথরাসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ারচেষ্টাকালে যোগী পুলিশের ধাক্কা-বাককিতণ্ডার এক পর্যায়ে আটক হয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণী রাজধানী নয়াদিল্লিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বিনাউপস্থিতিতে রাতের আঁধারে ওই তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন