তিব্বতী নির্বাসিত রাষ্ট্রপতি লবসাং সাংগে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'তিব্বতকে চীনের একটি প্রদেশে পরিণত করতে চায় এবং তারা তিব্বতীদের চীনা ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করতে চায়।'
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তিব্বতে চীনের নিপীড়ন আরও বেড়েছে। কবি, শিল্পী এবং গায়কদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিব্বতী আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামার ছবি প্রদর্শনের জন্য অন্যদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
এছাড়াও একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) 'ফ্রিডম হাউস' বলছে, তিব্বত এখন বিশ্বের সবচেয়ে কম মুক্ত দেশ হিসেবে সিরিয়ার সঙ্গে স্থান পেয়েছে। সারা দেশের বেশিরভাগ বৌদ্ধ স্থান নিষিদ্ধ, তাদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং সন্ন্যাসীদের ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের হাজার বছরের প্রাচীন সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসনের (সিটিএ) বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। তার এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল চীনা আগ্রাসন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তিব্বতের প্রতি আরও সমর্থনের জন্য বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
চীন তিব্বতের বিরুদ্ধে একই দমন কৌশল ব্যবহার করছে যা তারা জিনজিয়াংয়ে উইগুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছে। তিব্বতে প্রায় ৫ লাখ মানুষকে শ্রম শিবিরে বন্দী রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীনা সরকার ১৯৫০ সালে তিব্বত দখল করে, ৯৮ শতাংশ মঠ ধ্বংস করে। তারপর থেকে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: এএনআই
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির