ভারতের সেনা কর্মকর্তা বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে যে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার পাইলট ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। বুধবারের এ দুর্ঘটনায় রাওয়াতসহ সেনাবাহিনীর ১২ জনের সঙ্গে মারা যান পৃথ্বীও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগরার বাসিন্দা পৃথ্বী ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যোগ দেন ২০০০ সালে। উইং কমান্ডার হিসেবে তার পদোন্নতি হয় ২০১৫ সালে।
সুদান থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার পর তার দক্ষতা আরও বেড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন পৃথ্বীর ঊর্ধ্বতনরাই। তিনি চালকের আসনে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা ভেবে বিস্মিত হচ্ছেন সহকর্মীরা।
পৃথ্বীর মা সুশীলা চৌহান জানিয়েছেন, দুপুরের খাওয়া সেরে ঘুমাতে যান তিনি। তার আগে টিভিতে খবরও দেখেন। কিন্তু তখনও কোথাও দুর্ঘটনার খবর প্রচার করা হয়নি।
টিভি চালিয়ে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সুশীলা। ছেলের মৃত্যু সংবাদ যখন টিভিতে দেখানো হয় তখনও তিনি ঘুমোচ্ছেন। পৃথ্বীর বাবা ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান তাকে। তারপর থেকেই পৃথ্বীর সঙ্গে বলা শেষ কথাগুলো বারবার মনে করছেন তিনি।
বুধবারের সেই দুর্ঘটনার আগে মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে শেষ ফোনটি মা সুশীলাকেই করেছিলেন পৃথ্বী। তখন মায়ের সঙ্গে পারিবারিক অনেক কথাই হয় তার।
ফোনালাপে মাকে পৃথ্বী বলেন, আগ্রার মিলিটারি হাসপাতালে মায়ের জন্য এপোয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করেছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলে রেখেছেন। তিনি মা সুশীলা চৌহানকে নিশ্চিত করেন যে, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আগামী জানুয়ারিতে পৃথ্বীর বাড়িতে যাওয়ারও কথা ছিল।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ