পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অভিযোগ তোলেন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে উপহার হিসেবে দামি একটি হার পেয়েছিলেন। বিশেষ সহকারীর মাধ্যমে ১৮ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে হারটি বিক্রি করেন।
এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, তোশাখানার পুরষ্কার তিনি কিনে নিয়েছিলেন সেই রেকর্ড আছে। তিনি দুর্নীতি করেছেন কারও কাছে প্রমাণ থাকলে তাদের উচিত সামনে আনা।
ইমরান খান বলেন, তার নিজের বাসভবন বানি গালার জন্য একজন বিদেশি প্রেসিডেন্ট তাকে একটি উপহার দিয়েছিলেন। উপহারটি তিনি তোশাখানায় রেখেছিলেন। পরে উপহারটি তিনি ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করে ক্রয় করেছিলেন। ইমরান খানের ভাষ্য, আমার উপহার আমার পছন্দ (মাই গিফট, মাই চয়েস)। টাকা বানানোর ইচ্ছা থাকলে নিজের বাসভবনকে ক্যাম্প অফিস ঘোষণা করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আইন অনুযায়ী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা যদি কোনো উপহার পান, তাহলে সেটা রাষ্ট্রীয় উপহারভান্ডার তোশাখানায় জমা দিতে হয়। যদি তারা সেই উপহার তোশাখানায় জমা না দেন অথবা অন্তত উপহারের অর্ধেক মূল্য রাষ্ট্রীয় কোষাগারে না দেন, তাহলে সেটা বেআইনি কর্মকাণ্ড বলে গণ্য করা হবে।
এর আগে পাকিস্তানের সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, উপহার হিসেবে পাওয়া ওই হার রাষ্ট্রীয় উপহারভান্ডার তোশাখানায় জমা না দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ সহকারী জুলফিকার বুখারিকে দেন। বুখারি হারটি লাহোরের একজন জহুরির কাছে ১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উপহারের হার বিক্রির এ অভিযোগ পাওয়ার পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সূত্র: ডন
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল