রাশিয়াকে দুর্বল করার পাশাপাশি দেশটিকে ধ্বংস করে দিতে চায় বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন সর্বোচ্চ রুশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিকোলাই প্যাতরুশেভ।
মঙ্গলবার ব্রাইয়ানস্ক শহরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্যাতরুশেভ বলেন, যখন ওয়াশিংটন রাশিয়াকে ‘অস্থিতিশীলতার উৎস’ বলে অভিহিত করছে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট পূর্বদিকে অগ্রসর হতে হতে আমাদের সীমান্ত চলে এসেছে তখন আমেরিকার উদ্দেশ্য পরিষ্কার।
রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব পেতরুশেভ বলেন, আমেরিকা ও তার মিত্রদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত অভ্যুত্থানে কিয়েভের ক্ষমতায় যে তাবেদার সরকারকে বসানো হয়েছে তার কাজই হচ্ছে রাশিয়াকে দুর্বল করে ফেলা। তিনি বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য আমাদের জাতিকে দুর্বল করা, বিচ্ছিন্ন করা এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংস করা।
রশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বব্যাপী আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বকে ‘একটি মহাযুদ্ধের দিকে’ ঠেলে দিচ্ছে যা অন্য দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে।
প্যাতরুশেভ বলেন, ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীরা তার দেশে অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে যা রাশিয়ার জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের উগ্রপন্থী ও চরমপন্থী সদস্যরা রুশ ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে নাশকতামূলক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী হামলা চালাতে চায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। দেশটির দাবি, ন্যাটো যোগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে ইউক্রেন, যা রাশিয়ার জন্য একটি বড় হুমকি।
এদিকে, রুশ এই অভিযানের শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা। বিপুল অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি দেশটিকে নানাভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুদ্ধের শুরুতে কয়েক দফা আলোচনার হলেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি ইউক্রেন ও রাশিয়া। দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। সূত্র: আরটি
বিডি প্রতিদিন/কালাম