মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্দুকধারী ফ্রান্সিসকো মদ্যপ ছিলেন। তার বন্দুক অনুশীলনের শব্দে পাশের বাড়ির শিশুরা ঘুমাতে পারছিল না। তাই তাকে অনুশীলন বন্ধ করতে বলেছিল ভুক্তভোগীরা।
জবাবে ফ্রান্সিসকো বলেছিলেন, তিনি নিজের বাড়ির উঠোনে যা ইচ্ছা তা-ই করবেন। এভাবে তর্কের সূত্রপাত। এরপর প্রতিবেশীদের বাড়ি গিয়ে আক্রমণ করেন বন্দুকধারী। ওই সময় বাড়িতে ১০ জন ব্যক্তি ছিলেন। আক্রান্ত ৪ প্রাপ্তবয়স্ককে ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এক শিশু মারা যায় হাসপাতালে।
টেক্সাসের পুলিশের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।গত ২৮ এপ্রিল রাতে হিউস্টনের উত্তরে সান জাকিন্টো কাউন্টির ছোট্ট শহর ক্লিভল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই হন্ডুরাসের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে আট বছরের শিশুও আছে।
স্থানীয় শেরিফ গ্রেগ ক্যাপার্স জানান, নিহতদের মধ্যে দুজন নারী। বেঁচে থাকা দুই শিশুর ওপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে তাদের। শেরিফের ধারণা, ওই নারীরা গুলি থেকে বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। সন্দেহভাজন মেক্সিকোর নাগরিক ফ্রান্সিসকো ওরোপেজ (৩৮) পলাতক। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এখনো সশস্ত্র রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফ্রান্সিসকো কাছের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারেন। তার খোঁজে কুকুর ও ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ।
বন্দুকধারী একটি এআর-১৫ আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুলির শব্দ শোনার কথা স্বীকার করে প্রতিবেশী ভেরোনিকা পিনেদা বলছিলেন, গুলির শব্দ এখানে নিয়মিত ঘটনা। সবসময় এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুক্রবারের গুলির শব্দকে অন্যদিনের মতো মনে করেছিল স্থানীয়রা।
কয়েকদিন আগে পশ্চিম টেক্সাসে কিশোরদের জমায়েতে গুলিতে ৯জন আহত হয়। দুই সপ্তাহ আগে আলাবামায় জন্মদিনের পার্টিতে চার যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ