উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার জাপানের গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিম জং–উনের একটি বিস্তৃত পরিসরের আলোচনা হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র চুক্তি না করার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সতর্কতার মধ্যেই কিম জং–উন রাশিয়া সফরে গেলেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ'র শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, কিম জং উনের রাশিয়া সফরের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক নেতা ও প্রধান কূটনীতিকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
কেসিএনএ প্রকাশিত একটি ছবিতে কিমের সামরিক বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রি পিয়ং চোলকে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে। দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রি পিয়ং মার্কিন ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু।
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত আধাসামরিক কুচকাওয়াজের সময় তাকে কিমের পাশে বারান্দায় বসে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া জুলাইয়ের শেষের দিকে পিয়ংইয়ংয়ে অস্ত্র প্রদর্শনীতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে স্বাগত জানাতেও দেখা যায় তকে।
কিমের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সান হুই। পিয়ংইংয়ের এর মন্ত্রী সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে পারমাণবিক সমঝোতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের জুনে তিনি তার বর্তমান পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলে সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের জেনারেল পাক জং চোন, পার্টি সেক্রেটারি পাক থাই সং, নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল কিম মিয়ং সিক এবং মিউনিশন ইন্ডাস্ট্রির বিভাগীয় পরিচালক জো চুন রিয়ং উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিওন হা-কিউ বলেন, কিমের সঙ্গে তার সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্যও রয়েছেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, কিমের বোন এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিম ইয়ো জং এই সফরে তার ভাইয়ের সাথে যোগ দিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে,