২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২১

ইসরায়েলি বাহিনীর আরও ইউনিটের ওপর অবরোধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র!

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলি বাহিনীর আরও ইউনিটের ওপর অবরোধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র!

ফাইল ছবি

কেবল নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন নয়, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এবং ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনীর আরও একাধিক ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন চলতি সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে দুটি মার্কিন সূত্র রবিবার টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বছরের বেশি সময় ধরে নেতজাহ ইয়েহুদাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর আরও কয়েকটি ইউনিটের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত নেতজাহ ইয়েহুদা ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে আমেরিকা।

মার্কিন অবরোধ আরোপের বাস্তব প্রভাব হবে খুবই সীমিত। কিন্তু এর তাৎপর্য হবে ব্যাপক। জানা গেছে, অবরোধ আরোপ হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো মার্কিন সামরিক সহায়তার আওতায় কেনা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না, মার্কিন তহবিলের কোনও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তারা যোগ দিতে পারবে না।


উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ শুরু করেছে। ফিলিস্তিনিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা ইসরায়েলি গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ইসরায়েলিরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে নিজেরাই নিজেদের অপকর্মের জন্য ফেঁসে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে গাজার ব্যাপারেও একইভাবে তারা ধরা খেতে পারে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো মানবাধিকার তো বটেই, ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণবিধিরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

নেতজাহ ইয়েহুদা ইউনিটটি গাজাতেও যুদ্ধ করছে।

উল্লেখ্য, নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নটি অতি উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত। তাদের হাতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৮০ বছর বয়স্ক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদ মারা যান। এ ধরনের আরও কিছু ঘটনা এই বাহিনী ঘটিয়েছে।

আসাদকে রামাল্লার কাছে তার গ্রামে হঠাৎ স্থাপিত একটি চেকপয়েন্টে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয় ও মুখ বাঁধা হয়। এরপর সৈন্যরা মধ্যরাতে তাকে মাটিতে কয়েক ঘণ্টা ফেলে রাখে। পরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরে এক তদন্তে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, এটা ছিল একটি বাহিনীটির নৈতিক ব্যর্থতা এবং সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা। বিষয়টি মানুষের মর্যাদার ওপর মারাত্মক আঘাত ছিল।

পরে নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের কমান্ডারকে তিরস্কার করা হয়, কোম্পানি কমান্ডার এবং প্লাটুন কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সৈন্যদের কোনও শাস্তি ছাড়াই রেহাই দেওয়া হয়। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর