দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। কিন্তু শপথগ্রহণের একদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান পার্টির নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। খবর এএফপির।
নাগরিক অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচার গ্রুপের সদস্যরা পিপলস মার্চ নামের ওই বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন। এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সে সময়ও তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা গর্ভপাতের অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, বন্দুক হামলার বিরুদ্ধে আরও ভালো সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসী অধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এবং তার দলের নেতাদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আয়েশা বেকার-বারোস নামের এক নারী বলেন, এই আইনগুলো আমাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। নারীরা মারা যাচ্ছে। তিনি স্লোগান দিচ্ছিলেন, আমার শরীর, আমার পছন্দ।
প্রতিবাদ করতে ফ্লোরিডা ৬০ বছর বয়সী সুসান ডুটওয়েলস বলেন, ট্রাম্পের ওভাল অফিসে ফেরার বিষয়ে তিনি আতঙ্কিত এবং তিনি এতে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
ক্যারিন নামের একজন ৪০ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী অ্যারিজোনা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে তিনি বেশ আতঙ্কিত।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী থাকার চেষ্টা করছি। অনেক লোকের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
জানা গেছে, চার বছর পরপর দেশটিতে নতুন বা পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে এবার কিছু ভিন্নতা দেখা যাবে। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, নতুন প্রেসিডেন্টের কার্যকাল ২০ জানুয়ারি দুপুরে শুরু হয়। গত কয়েক বছরে ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম লনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও এবারের সেটি হবে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়। কারণ, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি ইনডোরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাধারণত মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নতুন প্রেসিডেন্টের শপথবাক্য পাঠ করান। এবার জন রবার্টস দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথ শেষে নতুন প্রেসিডেন্ট আগামী চার বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। একই দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেডি ভ্যান্সও শপথ নেবেন।
সোর্স: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আশিক