সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। শিগগিরই দেশটির বাসিন্দারা বেতন গ্রহণ, ইউটিলিটি বিল, মুদি কেনাকাটা, এমনকি ট্রাফিক জরিমানা পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারবেন এই ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতই এই প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে আসছে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
সম্প্রতি দুবাইয়ের অর্থ বিভাগ ও বৈশ্বিক ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ক্রিপ্টো.কম-এর মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর সরকারি সেবার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিটওয়েসিস-এর প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওলা দৌদিন বলেন, দুবাইয়ের এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তিটিকে বিনিয়োগের হাতিয়ার থেকে একটি পাবলিক সেক্টরের সুবিধায় রূপান্তর করেছে। খুব শিগগিরই মানুষ ডিজিটাল ওয়ালেট দিয়েই ট্রাফিক জরিমানা বা বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, স্থিতিশীল মুদ্রা বা স্টেবলকয়েন বর্তমানে বাস্তব সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দেশে মানুষ তাদের সঞ্চয়ের মূল্য ধরে রাখতে এটি ব্যবহার করছে। আবার কেউ কেউ দ্রুত ও কম খরচে বিদেশে টাকা পাঠাচ্ছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন খাত যেমন, রিয়েল এস্টেট, এয়ারলাইনস ও ফুয়েল রিটেইলাররা ক্রিপ্টো গ্রহণ শুরু করেছে। এমনকি গত বছর একটি দুবাই আদালত এক কর্মচারীর পাওনা বেতন আংশিকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রদানের নির্দেশও দিয়েছিল।
ওলা দৌদিনের মতে, প্রথমে সরকারি খাতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে। এরপর বিলাসবহুল পণ্য, হোটেল-অভিজাত খাত ও বিমান পরিবহন শিল্পে তা প্রসারিত হবে। ধাপে ধাপে রেমিট্যান্স, বিল পরিশোধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা পর্যন্ত পৌঁছাবে।
আইসিএম-এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাই মহেশ জানান, দুবাইয়ের আর্থিক অবকাঠামো, বহুমুখী এক্সচেঞ্জ এবং সুস্পষ্ট নিয়মকানুনের কারণে ক্রিপ্টোকারেন্সি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। ইতিমধ্যে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁয় বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম গ্রহণ শুরু হয়েছে।
সূত্র: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল