রাজশাহীর পদ্মা নদীতে কুমির দেখা যাওয়ার পর স্থানীয়দের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলা শাখা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে পদ্মা পাড়ের লালনমঞ্চ এলাকা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
পরবর্তীতে পদ্মা গার্ডেন, আইবাধ, বিজিবি গার্ডেন ও টি-বাধ এলাকায় স্থানীয় অধিবাসী, জেলে সম্প্রদায় ও পর্যটকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে বিতরণকৃত লিফলেটে— কেউ কুমিরের দেখা পেলে অতি উৎসাহী হয়ে বিরক্ত না করা, শিশুদের নদীর কিনারে যেতে না দেওয়া, দিনে ও রাতে মাছ আহরণের সময় সতর্ক থাকা, নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা, কুমিরের রোদ পোহানোর সময় ঢিল না ছোড়া বা তাড়ানোর চেষ্টা না করা, রাতের বেলায় নদী তীরবর্তী কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা এবং পশু চরানো বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
লিফলেটে আরও উল্লেখ করা হয়, পদ্মা নদীতে দেখা পাওয়া কুমিরগুলো বিলুপ্তপ্রায় মিঠাপানির প্রজাতির, যা পদ্মার জীববৈচিত্র্যের জন্য ইতিবাচক দিক। এসব কুমির জলজ খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে নদীর পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে নদীর ভারসাম্য রক্ষায় কুমির অপরিহার্য প্রাণী।
বাংলাদেশ সরকারের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কুমিরকে বিরক্ত করা, তাড়ানোর চেষ্টা, ধরা, হত্যা, ক্রয়-বিক্রয় বা পাচার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি মতিউর মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার আলী হায়দার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সমাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নয়ন বর্মন, সদস্য রাফিদুর রহমান, হাসিবুল হাসনাত রিজভি, পিয়াস আহমেদ সিয়ামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া