বিশ্ববিখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন আবারও বড় পরিসরে কর্মী ছাঁটাই করেছে। সর্বশেষ দফায় কোম্পানিটি প্রায় ১৪ হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অনেক কর্মীকে টেক্সট মেসেজ বা বার্তার মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির খবর জানানো হয়েছে। এটা কর্মীদের হতবাক করেছে একইসঙ্গে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামাজন বিভিন্ন বিভাগে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এই ছাঁটাই কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে কোম্পানি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কোন কোন বিভাগে কতজন কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ ও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় অ্যামাজনসহ অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। তাই তারা অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি) বাড়িয়ে কর্মীসংখ্যা কমাচ্ছে।
এমনকি সম্প্রতি অ্যামাজন তাদের কিছু নতুন প্রকল্প স্থগিত করেছে, যাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ছাঁটাইয়ের পরও তারা প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে।
কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, তারা আগেভাগে কোনো ইঙ্গিত পাননি। হঠাৎ বার্তা পেয়ে বুঝেছেন, তাদের চাকরি শেষ। প্রাক্তন এক কর্মী বলেন, আমি সকালে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই ফোনে বার্তা পেলাম—আমি আর অ্যামাজনের কর্মী নই।
এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও অ্যামাজন একাধিক দফায় কর্মী ছাঁটাই করেছিল। এবারের পদক্ষেপে আবারও প্রশ্ন উঠছে—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মানবকর্মীর ভবিষ্যৎ কোথায়?
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল