বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৎ চাচা গোলাম মোস্তফাকে পৈত্রিক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার ঘটনায় ভাতিজা কাওসারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় দেন।
পুলিশ ও আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর কাওসার তার শিশু ভাগ্নিকে (৯) ব্যবহার করে চাচা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ মোস্তফাকে গ্রেফতার করে আদালত পাঠায়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। তিন মাস ১৫ দিন পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। পরে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা মামলাটি ভিত্তিহীন হিসেবে আদালতে রিপোর্ট জমা দেন।
আদালত পর্যায়ক্রমে ভিকটিম, বাদী ও সাক্ষীদের শুনানি শেষে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আজ বুধবার কাওসারকে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির দায়ে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ মাসের অতিরিক্ত সাজা দেন।
মোস্তফা রায় শোনার পর বলেন, আমাকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক সম্মানহানি করা হয়েছিল। বিচারকের ন্যায়পরায়ণ সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি, এই রায় পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রবণতা কমাবে। আমি বিচারকের জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন নিরাপদ ব্যক্তিরা তার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল