চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রী হত্যার ১১ বছর পর স্বামী শুকুর আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আসামি শুকুর আলী পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মুন্সি মো. শাহজাহান মুকুল জানান, ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর তারিখ রাত সাড়ে তিনটায় আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামে স্বামী শুকুর আলীর বাড়ি থেকে লাইলি সুলতানা কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময়ে কুলসুমের বয়স ছিল ২২ বছর। পরে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে।
এ ঘটনায় নিহত কুলসুমের পিতা আলমডাঙ্গা থানার পারদূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সামসুল জোয়ার্দ্দার পরদিন ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই আসামী শুকুর আলী তার স্ত্রী কুলসুমকে মারপিট করতো। ঘটনার রাতে যৌতুকের দাবিতে মারপিট এবং শ্বাসরোধ করে শুকুর আলী তার স্ত্রী কুলসুমকে হত্যা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এ মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক এনায়েতপুর গ্রামের আসান মল্লিকের ছেলে শুকুর আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। মামলার আসামি শুকুর আলী মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতেই বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলায় এজাহার দায়েরের সময় আসামি শুকুর আলীর পিতা আসান আলী ও মাতা সাহেদা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের বিচারক এই দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মুন্সি মো. শাহজাহান মুকুল বলেন, রায়ে রাস্ট্রপক্ষ সন্তষ্ট।
বিডি প্রতিদিন/এএম