বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

আসছেন অতিমানব

আসছেন অতিমানব

‘সুপার হিউম্যান’ বা অতিমানব। বই-সিনেমায় যার হদিস মেলে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো দেখা মেলেনি। তবে এবার নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। জন্ম হতে হলে যে অণুর প্রয়োজন হয় ঠিক সেই একই ধরনের একটি অণুর হদিস পাওয়া গেছে। যার নাম- ‘হাচিমোজি’। জাপানি শব্দ। এর আগে এই ধরনের অণুর হদিস মেলেনি পৃথিবীতে। এই অণুর হাতেই ‘সুপার হিউম্যানে’র জিয়নকাঠি! নাসার অর্থসাহায্যে চলা গবেষণা জানাল, এই সদ্য আবিষ্কৃত অণুর হাতেই রয়েছে নতুন রকমের প্রাণের জিয়নকাঠি। যা এখনো নজরে পড়েনি ঠিকই। কিন্তু সেই জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও সেই প্রাণের জন্ম হয়তো অনেক আগেই হয়ে গেছে। গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-র সম্প্রতি। সেই আন্তর্জাতিক গবেষকদলের নেতৃত্বে রয়েছেন ফ্লোরিডার আলাচুয়ায় ফাউন্ডেশন ফর অ্যাপ্লায়েড মলিকিউলার এভোলিউশনের স্টিভেন বেন্নার। রয়েছেন মিশিগানে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ অনাবাসী ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথনও।

কীভাবে জন্ম হলো প্রাণের? : এককোষী থেকে শুরু করে অণুজীব, প্রাণী ও উদ্ভিদ, পৃথিবীতে যত রকমের প্রাণের হদিস মিলেছে এখনো পর্যন্ত তার জিয়নকাঠি ধরা রয়েছে বিশেষ একটি অণুর হাতে। যার নাম- ‘ডিঅক্সি-রাইবোনিউক্লিক’ অ্যাসিড বা ‘ডিএনএ’। ওই একটি অণুর হাতেই লুকিয়ে রয়েছে প্রাণ সৃষ্টির যাবতীয় ম্যাজিক। ডিএনএ অণুই তার নানারকমের কায়দা-কসরৎ দিয়ে, তার শরীরকে নানারকমভাবে বাঁকিয়ে-চুরিয়ে অন্তত ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের জন্ম দিয়েছে। যার থেকে তৈরি হয়েছে হাজার হাজার প্রোটিন। সেই সবকটি প্রোটিনেই রয়েছে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড। সেই ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের নানা রকমের চেহারা ও চরিত্র, নানা ধরনের আচার-আচরণের জন্যই পৃথিবীতে কোটি কোটি প্রাণের জন্ম হয়েছে গত ৩৭০/৪০০ কোটি বছর ধরে, হয়ে চলেছে। হবে আগামী দিনেও। প্রাণের যতই বৈচিত্র্য থাক, সব প্রাণেরই জন্ম হয়েছে ওই ডিএনএ-রই জিয়নকাঠিতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর