বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ফ্রান্সে ৫ দিনের প্রার্থনা সভা হল কাল

ফ্রান্সের একটি চার্চে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রার্থনায় সমবেত হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। ক্রিশ্চিয়ান ওপেন ডোর চার্চে সেই প্রার্থনা চলে পাঁচ দিন। জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মিলুজ শহরে সপ্তাহব্যাপী ওই প্রার্থনায় যোগ দিতে অনেকে গিয়েছিলেন হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এ চার্চের অনুসারীদের কাছে বার্ষিক এ উৎসব সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু এবারের সমাবেশে কোনো একজন বহন করছিলেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই চার্চের জমায়েত থেকেই ফ্রান্সে কভিড-১৯ সংক্রমণের সবচেয়ে বড় বিস্তৃতিটা ঘটেছে। আড়াই হাজারের মতো মানুষের করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রয়েছে ওই সমাবেশের। চার্চে প্রার্থনায় যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা নিদের অজ্ঞাতেই ভাইরাসটি বয়ে নিয়ে গেছেন পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ কোরসিকা, লাতিন আমেরিকার গায়ানা, সুইজারল্যান্ড, একটি ফরাসি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ইউরোপের সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কশপে। এর কয়েক সপ্তাহ পর জার্মানি আংশিকভাবে ফ্রান্সের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়, স্থগিত করে ২৫ বছর ধরে চলা অবাধ চলাচল চুক্তি। জার্মানির ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত দুজন রয়টার্সকে বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ওই চার্চকেন্দ্রিক গোষ্ঠীটি একটি ‘প্রধান ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করেছে। চার্চের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, সমাবেশে উপস্থিতদের মধ্যে ১৭ জন এরই মধ্যে কভিড-১৯ এ মারা গেছেন। বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া অতি সংক্রামক এ ভাইরাসের বিস্তারের পেছনে অন্যান্য ধর্মীয় সমাবেশেরও ভূমিকা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর