বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বীকৃতি পেতে তালেবানকে স্পষ্ট বার্তা ম্যাক্রোঁর

আফগান নারীদের সম্মান রক্ষা, পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা আনার বিষয়টি শর্তের মধ্যে থাকা উচিত

স্বীকৃতি পেতে তালেবানকে স্পষ্ট বার্তা ম্যাক্রোঁর

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চাইলে তালেবানকে কী করতে হবে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলন থেকে এমন বার্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এএফপি

‘ফ্রান্স ইন্টার’ বেতারে গতকাল সম্প্রচার হওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, তালেবানকে দেওয়া বিভিন্ন শর্তের মধ্যে নারীর সমতা, বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোকে কাজ করতে দেওয়ার অনুমতি ও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে সহযোগিতা না করার বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে। ‘আমি মনে করি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটা মূল্য থাকা উচিত। এবং আফগান নারীদের সম্মান রক্ষা, পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা আনার বিষয়টি আমাদের শর্তের মধ্যে থাকা উচিত,’ বলেন ম্যাক্রোঁ। আগামী ৩০-৩১ অক্টোবর রোমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তান নিয়ে কথা বলব। আমাদের বলতেই হবে। আমরা ইউরোপীয়রা, মার্কিনিরা, চীন, রাশিয়া, আফ্রিকা, এশিয়া, প্যাসিফিক ও ল্যাটিন আমেরিকার বড় শক্তিরা, আমাদের সবার একটা পরিষ্কার বার্তা থাকতে হবে এবং সেটা দিয়ে আমরা তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন শর্ত ঠিক করব।’

তালেবান শাসনের ৫১ দিন; স্বীকৃতি কতদূর : তালেবান শাসনের ৫১ দিন পার হলো। কিন্তু, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এখনো স্বীকৃতি আদায় করে উঠতে পারেনি তালেবান সরকার। একাধিক মন্ত্রীর নাম ঘোষিত হলেও, তারা কেউ দায়িত্ব নেননি। আফগানিস্তানের তরফে বারবার দোহা চুক্তির কথা তোলা হলেও এখনো তারা তার ফায়দা তুলতে পারেনি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি দোহায় সেই শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন আমেরিকার বিশেষ দূত জালমে খালিলজাদ, আফগানিস্তানের বর্তমান উপ প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বারাদার, কাতারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মহম্মদ বিন আহমেদ আল মেসনেদ, ব্রিটেনের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ নিক কার্টার এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। সেই চুক্তিতে কী রয়েছে, তা স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ছাড়া আর কারও জানা নেই।  

কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যা দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, এই তালেবানের সঙ্গে আগের তালেবানের হয়তো কোনো মিল নেই। কিন্তু সরকার গঠনের পর বোঝা গেল, তালেবান আছে একই জায়গায়। অতীতের পথে হেঁটে নারীদের ওপর কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে। তাদের চলাফেরা, শিক্ষা, চাকরি সব ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা খাড়া করা হয়েছে। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো তালেবানের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর