মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে করা কিছু পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) পোস্ট দিয়ে মাস্ক বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কিছু পোস্ট করেছি, যেগুলো নিয়ে এখন আমি অনুশোচনা করছি। আমি সীমা অতিক্রম করেছি।’
সম্প্রতি দুজনের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয়। এক্সে মাস্ক ট্রাম্পের নতুন কর বিলকে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেন। এর জবাবে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তিনি মাস্কের সঙ্গে তার সব সম্পর্ক শেষ করেছেন এবং ভবিষ্যতে সম্পর্ক পুনর্স্থাপনেও কোনো আগ্রহ নেই।
এই বাজেটে ব্যাপক করছাড় এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়ে এখন সিনেটের বিবেচনাধীন রয়েছে। মাস্ক আমেরিকান নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন ওয়াশিংটনে তাদের প্রতিনিধিদের ফোন করে এই বিলের বিরোধিতা করেন। কারণ তার মতে, এটি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক মন্দা ডেকে আনবে।
এ ছাড়া মাস্ক কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, ট্রাম্পের নাম জেফরি এপস্টেইনের গোপন সরকারি নথিতে থাকতে পারে। তবে হোয়াইট হাউস এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘মাস্ক মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন’ এবং হুমকি দেন যে, তার প্রতিষ্ঠানের সরকারি চুক্তিগুলো বাতিল করবেন। এ চুক্তিগুলোর মূল্য আনুমানিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যার বড় অংশ স্পেসএক্সের জন্য বরাদ্দ।
এনবিসিতে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার, কারণ মাস্ক অত্যন্ত অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। -বিবিসি
কেউ প্রেসিডেন্টের অফিসকে এভাবে অসম্মান করতে পারে না।’
এ ঘটনার পর মাস্ক তার বেশ কিছু বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেলেছেন। এর মধ্যে একটি ছিল ট্রাম্পের অভিশংসন দাবি করা পোস্টও।
এদিকে ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন মন্তব্য করেছেন, যেহেতু মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, তাই তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা উচিত। তবে অধিকাংশ রিপাবলিকান চাচ্ছেন, এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে সমঝোতা হোক। ডেমোক্র্যাটরাও এই দ্বন্দ্বকে কৌতূহলের চোখে দেখছেন।
উল্লেখ্য, মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগে (ডিওজিই) মাত্র ১২৯ দিন কাজ করার পর পদত্যাগ করেন। এরপরই এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।