জার্মানির রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট আদায় করতে না পারায় দেশটির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হতে পারেননি। গতকাল পার্লামেন্টে প্রথম পর্বে মাত্র ছয় ভোটের ব্যবধানে অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যর্থ হন তিনি। এতে তার রক্ষণশীল দল সিডিইউ/সিএসইউয়ের সঙ্গে মধ্যবামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) নতুন জোট বিপর্যয়ের মুখে পড়ল।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জার্মানির ফেডারেল নির্বাচনে ফ্রেডরিখ মার্জের (৬৯) নেতৃত্বাধীন সিডিইউ/সিএসইউ জয় পায়। তারপর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল-ওই সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা মার্জই জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন।
পার্লামেন্টে সিডিইউ/সিএসইউয়ের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তারা এসপিডির সঙ্গে জোট গঠন করেছিল। কিন্তু পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে চ্যান্সেলর পদের ভোটাভুটিতে তিনি নিজের পক্ষে ৩১০ ভোট টানতে পারেন, কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার জন্য দরকার ছিল ৩১৬ ভোট। অর্থাৎ মাত্র ছয় ভোটে হেরে গেলেন তিনি।
জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসট্যাগের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া ক্লোকনার জানিয়েছেন, এরপর তারা কীভাবে এগোবে তা নিয়ে পার্লামেন্টের দলগুলো যেন শলাপরামর্শ করতে পারে তার জন্য তিনি অধিবেশন মূলতবি রাখছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বুন্ডেসট্যাগ গতকালই ফের আরেকটি ভোটের উদ্যোগ নিতে পারে অথবা মার্জ বা অন্য কোনো চ্যান্সেলর প্রার্থীকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে জেতাতে আরও ১৪ দিন সময় নিতে পারে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে মার্জের রক্ষণশীল দল ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে তাদের অন্তত একটি অংশীদার দরকার ছিল। সোমবার তারা মধ্যবামপন্থি এসপিডির সঙ্গে জোট গড়ার চুক্তি করে। নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা এসপিডি পেয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দলটির সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।