শিরোনাম
রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
রিভিউ আবেদনের প্রস্তুতি

কামারুজ্জামানের সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। জামায়াতে ইসলামীর এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের স্ত্রী নুরুন্নাহারসহ পরিবারের আট সদস্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, এটি নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ। ৫৫ মিনিটের মতো তারা ভিতরে ছিলেন। কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরিবারের সদস্যরা জেলগেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রস্তুতি চলছে। যথা সময়ে এই আবেদন করা হবে। পরিবারের সদস্যদের কামারুজ্জামান জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডের রায়ে তিনি মোটেই বিচলিত নন। জানা গেছে, কামারুজ্জামানের স্ত্রী নূরুন্নাহার, মেয়ে আফিয়া নূর, পুত্রবধূ শামীম আরা, শ্যালক আবুল কালাম আজাদ, ভাগ্নে সানোয়ার হোসেন এবং তিন ভাগ্নি রোকসানা জেবিন, শাহানা জেবিন ও আফরোজা জাহান বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা বের হন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে। কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার সঙ্গে পরিবারের এটিই প্রথম সাক্ষাৎ।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানকে ২০১৩ সালের ৯ মে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় সংক্ষিপ্ত আকারে দেন আপিল বিভাগ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ৫৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এদিন প্রকাশিত হয়। ওই দিন রাত পৌনে ৮টায় আপিল বিভাগ থেকে ফাঁসির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পৌঁছে দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়।

সর্বশেষ খবর