শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে পলায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রী পক্ষের অভিযোগ যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি সে আত্মহত্যা করেছে। রহস্যজনক এই মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়ছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রুমি বেগম (২১) নামের ওই গৃহবধূর লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। রুমি বেগম সিলেটের মোগলাবাজার থানার দাউদপুর এলাকার তিরাশি গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি সিলেটের বিমানবন্দর থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকায়। জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার পর স্ত্রী রুমি বেগমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন খোকন মিয়া। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে উধাও হয়ে যান স্বামী খোকন মিয়া- এমন অভিযোগ রুমির পরিবারের সদস্যদের। রুমীর ভাই জুনেদ মিয়া জানান, খোকনের সঙ্গে তার বোনের ২ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। খোকন ও রুমীর সংসারে ১ মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই খোকন বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে রুমীকে নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। বুধবার সকালে রুমী তার মাকে কান্নাভেজা কণ্ঠে ফোন করে বলেন- ‘আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এদিকে, বিকেলে খোকন তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে বলেন- রুমী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তারা রুমীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খোকন ও তার ভাই রুমীকে প্রথমে দক্ষিণ সুরমার নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রুমীকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোগলাবাজার থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা জানান, স্ত্রীর পরিবারের লোকজন এটাকে হত্যা বলে দাবি করছেন। আবার স্বামী আত্মহত্যার অভিযোগ করেছেন। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর