বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
খুলনায় ট্রিপল মার্ডার

‘ক্লু’ উদঘাটনে সময় চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার কয়রায় একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যার ঘটনায় ‘ক্লুু’ এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে পূর্বশত্রুতার বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যায়, নিহত হাবিবুল্লাহর সঙ্গে প্রতিবেশী কুদ্দুস গাজীর পরিবারের দ্বন্দ্ব ছিল। চলতি বছরের প্রথমদিকে এক দিন সন্ধ্যার পর মুখোশধারী কিছু যুবক হাবিবুল্লাহকে মারধর করে। এ ছাড়া কুদ্দুস গাজীর বাড়িতে গেলে হাবিবুল্লাহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয়। পরে গ্রাম্য সালিশে হাবিবুল্লাহ আর কখনো ওই বাড়িতে  যেতে পারবেন না বলে লিখিত ফয়সালা হয়। পুলিশ কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্থানীয় সূত্র বলছে, সুলতানার সঙ্গে অন্য যুবকদের পরকীয়া আছে বলে হাবিবুল্লাহ মন্তব্য করতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেন জানান, পরকীয়াসহ আরও কিছু বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে। সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে মোটিভ উদ্ধার করা সম্ভব হবে। জানা যায়, সোমবার রাতের কোনো এক সময় কয়রায় বাগালী ইউনিয়নের বানিয়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাজীকে (৪২) হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে তার স্ত্রী বিউটি খাতুনকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে ও মেয়ে হাবিবা খাতুন টুনিকে (১৩) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। হত্যার এ ঘটনায় হাবিবুল্লাহর মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কয়রা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সিআইডি, ডিবি, পিবিআই, র‌্যাবসহ পুলিশের একাধিক টিম খুনের নেপথ্যের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেফতারে কাজ করছে। অন্যদিকে গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হত্যার আগে ধর্ষণের ঘটনা ছিল কি না বিষয়টি জানতে চাইছে পুলিশ। খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। যা কিছু জানা গেছে তা এখনই বলা ঠিক হবে না। শেষ পর্যন্ত গিয়ে আমরা প্রকাশ করব। নিহতদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে তদন্তে সহায়ক হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর