রাজধানীর সন্নিকটে কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে ১৬০ একর জায়গা বিস্তৃত ইজতেমা ময়দান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলিগ জামাতের লাখ লাখ মুসল্লি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রতিবছর। ধর্মীয় উৎসবের ন্যায় বছরের পর বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা। ধনী গরিব ছোট বড় সব বয়সী মানুষ শরিক হন ইজতেমায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
আগামী ২০২২ সালের বিশ্ব ইজতেমা হবে কি, হবে না এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। কেউ বলছে হবে আবার কেউ বলছে বিশ্ব ইজতেমা হবে না। ওমিক্রন ভাইরাস আঘাত হানার আশঙ্কা থাকায় এবারও বিশ্ব ইজতেমা হবে কি হবে না।
তবে আয়োজক কমিটির লোকজন বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ইজতেমা হওয়ার বিষয়ে তাঁরা অনেকটাই আশাবাদী। স্থানীয় মুসল্লি মুফতি কামাল উদ্দিন জাহানপুরি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই এবারের ইজতেমা চালু করা উচিত বলে আমি মনে করি।আয়োজক কমিটির সাদ অনুসারী হাজী মনির বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় অনেকটাই আশাবাদী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশা করি অনুমতি পেয়ে যাব।
অপরদিকে যোবায়ের অনুসারী আয়োজক কমিটির মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, ইজতেমা হবে কি হবে না এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তাই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আবার ওমিক্রন ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ইজতেমা হবে কিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা থাকবে।