সাভারের আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ‘আমার স্কুলের’ সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পুলিশ ও অটোরিকশা-ভ্যানচালকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা গত শনিবার থেকে মহাসড়কে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় রিকশা-ভ্যানচালকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরের দিকে ‘আমার স্কুলের’ কাছে মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালনকালে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে অবরোধে বাধা দিলে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মহাসড়কে অটোরিকশা ও ভ্যানে জরিমানার নামে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং হয়রানির অভিযোগ তুলে তা বন্ধে ওই এলাকার দুই শতাধিক শ্রমিক তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। গতকাল ছিল কর্মসূচির শেষ দিন। সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশুলিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।