তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চারটি জেলার ওপর দিয়ে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের কবলে আরও এক ডজনের বেশি জেলা। অপরদিকে চলতি জুন মাসের ৬ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। তাপপ্রবাহের খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অন্যদিকে গত বুধবার কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ।
ইউরোপীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে মোস্তাফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ও ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম হবে যথাক্রমে বিপর্যয় ও তেজ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ৯ থেকে ১০ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।অন্যদিকে আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
এদিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশবাসীর। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী এবং সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও কিছুদিন। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।