বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এত দিন আর্থিক খাতে ভয়াবহ রকমের লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাট কারা চালিয়েছেন সেটা তো আমরা জানি। এগুলো এখন জাতিকে জানাতে হবে। এ জন্য একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আমরা এখন একটা বড় ধরনের পরির্বতনের মধ্যে আছি। পুরনো যেসব জঞ্জাল রয়েছে সেগুলো দূর করতে হবে। একই সঙ্গে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। বিশেষ করে দুর্নীতি, লুটপাট, চুরি, ডাকাতি, অতি মূল্যায়ন, অকারণে প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্রের টাকার যে অপচয় করা হয়েছে। একই সঙ্গে পকেটে পুরা হয়েছে- এগুলোর প্রতিটা ঘটনার পর্যালোচনা ও বিচার করতে হবে। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব দাবি জানান। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এতে যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আবার ব্যাংক খাতকে পুনর্গঠনও করতে হবে। যারা ঋণখেলাপি রয়েছেন তাদেরকে ধরতে হবে। এই ঋণখেলাপিদের বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে যারা ঋণখেলাপি ও দুর্নীতি সহায়ক নীতিমালা জারি করেছিল তাদেরকেও ধরতে হবে। আবার এসব নীতিমালা বাতিল করে নতুন করে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তবে কিছু সমস্যার সমাধান করতে হবে খুবই দ্রুত। যেসব বাংলাদেশ বাংকসহ ব্যাংক ও আর্থিক খাত সচল করতে হবে। মানুষের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা ফেরাতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরাতে হবে। তিনি আরও বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে সবচেয়ে বেশি লুটপাট করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বিদ্যুৎ-জ্বালানি, ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও অবকাঠামোর নির্মাণের নামে করা হয়েছে। এগুলোর ওপর পর্যালোচনা তৈরি করতে হবে। এসবের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে যেসব প্রকল্প ক্ষতিকর যেমন রূপুপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো প্রকল্প যেসব আমাদের পরিবেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি যেকে আনতে পারে- এসব প্রকল্প বাতিল করতে হবে। যদিও আমরা এসব প্রকল্পের ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। এখন সময় এসেছে ও পরিবেশ তৈরি হয়েছে এসব প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করে বাতিল করার।