জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অত্যাচার, নির্যাতনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এর জন্য এককভাবে ছাত্রলীগ দায়ী। ছাত্রলীগের অপকর্মের দায় পুরো ছাত্রসমাজ তো বহন করবে না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, হলগুলোয় গেস্টরুম কালচার, রুম দখল, জোর করে ছাত্রছাত্রীদের দলীয় কর্মসূচিতে নিয়ে আসা-এগুলো বন্ধ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সঙ্গে ছাত্রদলও একমত। ছাত্রদলও বলে এসব ঠিক নয়। ছাত্র রাজনীতির নামে কোনো অপকর্মে ছাত্রদল বিশ্বাস করে না। ছাত্রদল এসব অপকর্ম ক্যাম্পাসে হতেও দেবে না। এগুলো না থাকলে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে উপকৃত হবে।
এ ছাত্রনেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে সিন্ডিকেটে। কিন্তু এ সিন্ডিকেট সদস্য যারা রয়েছেন তাদের ১৫ জনকে নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে অতীতে অনেক অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। অনেকের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত মানার কোনো প্রশ্নই আসে না।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত দেবে আর তা বাস্তবায়ন হবে, এটি তো সম্ভব নয়। বরং যারা ফ্যাসিবাদ কায়েমে ভূমিকা রেখেছিল তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি বিবেচনা করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা বিভিন্ন বাহিনীর পুনর্গঠন এখনো শেষ হয়নি। এটি শেষ হলে এ সিন্ডিকেটে যারা সদস্য হিসেবে রয়েছেন তাদের আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আমলে কী ভূমিকা ছিল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সচেতন শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রাখবে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি না থাকলে মেধাবীদের হাতে রাজনীতি থাকবে না। রাজনীতি চলে যাবে ব্যবসায়ীদের হাতে। সব থেকে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ক্যাম্পাসে রাজনীতি না থাকলে নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা বেড়ে যাবে। তাই ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই। খুব শিগগিরই এ নির্বাচন হতে হবে। অবিলম্বে ডাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্র সংসদের নির্বাচন দিতে হবে।