লক্ষ্মীপুরে আল-মঈন ইসলামী একাডেমীর শিক্ষার্থী সানিম হোসাইনকে (৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, অধ্যক্ষ বশির আহমেদ ও ফয়সাল নামে একজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে আটক শিক্ষক মাহমুদকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠান বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার ওই মাদরাসা থেকে সানিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে। রাতেই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে একটি মামলা করেন। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, তিন থেকে চার দিন আগে তাদের জানানো হয় সানিম হুজুরের কথা শোনে না, এমনকি হুজুরের নামে বদনাম করে। এ নিয়ে হুজুর তার ওপর রেগে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে জানানো হয়, সানিম টয়লেটে ঢুকে গলায় ফাঁস নিয়েছে। তবে সানিমের লাশ তার স্বজনরা এসে টয়লেটে পাননি। মাদরাসার নিচতলার একটি কক্ষে বিছানায় পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের দাবি, সানিম মাদরাসা ভবনের তিন তলায় টয়লেটে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে। শিক্ষকরা লাশ সেখান থেকে নিচতলায় নামিয়ে একটি কক্ষের বিছানায় রাখেন। একাডেমির অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমদ বলেন, ক্লাস শেষে সবাইকে নামাজ আর খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ পড়ে সবাই খেতে যায়। কিন্তু সানিম যায়নি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় সে গামছা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।