জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নলেজে রাখা ও রিসার্চের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছর রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করা হয়েছিল। ওই রিটে সম্পূরক আবেদন করা হয় জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। আদেশের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়েছে। তখনকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, বিচারব্যবস্থা কেমন ছিল, অর্থাৎ এটি একটি যথাযথ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।