রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক, সুতা ও সংশ্লিষ্ট পণ্য নিয়ে ১১তম ইয়ার্ন ফেব্রিক ও অ্যাকসেসরিজ প্রদর্শনী। চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন করছে এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। এটি শুধু ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
গতকাল আইসিসিবির হল ‘পুষ্পগুচ্ছ’তে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের সুতা, রঙিন সুতা, বোনা পোশাক তৈরির জন্য মিশ্র সুতা, বোনা ওভেন ফ্যাশন ফেব্রিক, প্লাশ ফেব্রিক, টিআর স্যুট ফেব্রিক, উলের স্যুট ফেব্রিক, ফ্যাশন প্রিন্টেড ফেব্রিক, বোনা স্পোর্টস ফাংশনাল ফেব্রিক, হোম ফেব্রিক, খেলনা ফেব্রিক এবং পোস্ট প্রসেস হট স্ট্যাম্পিং, সূচিকর্ম, কম্পোজিট, ফিল্ম, ফ্লকিংসহ পোশাক শিল্প খাতের আনুষঙ্গিক প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে কোনোরকম পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের নেই। আমরা আত্মহত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর পরের কোনো রোডম্যাপ নেই। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়েও রোডম্যাপ নেই। সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেনি। এখান থেকে ফেরত আসার সুযোগ ছিল এই সরকারের। কিন্তু তারাও আগের সরকারের মতো ভুল তথ্যের ওপর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করেছে। অ্যাকসেসরিজ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের মেলার সুফল রয়েছে... আগে ১০ সেইন্ট দিয়ে আমি ফিতা কিনতাম। মেলায় এসে দেখি আরও কমে পাওয়া যায়। পরে মেলা থেকে কিনে আমার দেড় লাখ ডলার খরচ সাশ্রয় হয়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কাস্টমস, বন্ড, বায়ার, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা টিকবে না। সরকারের সহযোগিতা না পেলে কোনো কিছু সম্ভব না। বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. শাহরিয়ার বলেন, আগে আমেরিকার শুল্ক সমস্যা ছিল। বর্তমানে সমস্যা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শিল্পের জন্য আতঙ্ক। এটি ট্র্যারিফ থেকেও আমাদের জন্য বড় আতঙ্ক।